টানা অবরোধে গাড়ি আমদানি কারকদের ক্ষতি ৭০০০ কোটি
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম.
জাপান থেকে আমদানি করা ৫ হাজার ৬৫৫টি গাড়ি শোরুমে অবিক্রীত পড়ে আছে তিন মাস ধরে। অন্যদিকে ৩ জানুয়ারি থেকে গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে ৭ হাজার ৮২৮টি গাড়ি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ হাজার ৩১টি এবং মংলা বন্দরে ৪ হাজার ৭৯৭টি গাড়ি পড়ে আছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় এসব গাড়ি সময়মতো খালাস করা যায়নি। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব গাড়ি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় রিকন্ডিশনড গাড়ির ব্যবসার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বারভিডাই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পড়েন বারভিডার মাহবুবুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, গত তিন মাসে দুই বন্দরে পড়ে থাকা গাড়ির জন্য তাঁদের ডেমারেজ চার্জ গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। স্বাভাবিক সময়ে দুই বন্দর থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০টি গাড়ি খালাস হয়। গড়ে প্রতিদিন তাঁরা শুল্ক দেন ১৬ কোটি টাকা। গাড়ি খালাস না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আটকে গেছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংক চার্জ, বন্দর চার্জ ও নিলাম খাতে সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আমাদের এ মুহূর্তে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব।’
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার নেতারা গত তিন মাসের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও মেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা দিতে অর্থমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। আবার দুই বন্দরে গাড়ি আটকে পড়ায় যে ডেমারেজ চার্জ দিতে হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মওকুফের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনাও কামনা করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল